এম.আর, মাহামুদ :
সেদিন চকরিয়া পৌরসদরের সমিতি মার্কেটে এক প্রবীণ ব্যক্তির সাথে দেখা হতে না হতেই তিনি বলে উঠলেন চকরিয়া বাঁশঘাটা সড়কের কোন পরিবর্তন হলনা। বিষয়টি আমাকে বলার কারণ একটিই এ সড়কের করুণ দৃশ্য নিয়ে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলাম মেয়র মহোদয়ের সমীপে। মেয়র মহোদয় ওই চিঠিটি পড়ে ফেইসবুকে মন্তব্য করেছিলেন- ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু দৃশ্যমান কোন কাজের গতি না দেখে ওই এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আমাকে একথাটি বলেছেন। আসলে সাংবাদিকের কাজ সংবাদ লিখা। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাজ তা সমাধান করা। শীত বিদায় নিয়েছে। গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছে। মার্চের পরপর এপ্রিলের প্রথম থেকে কালবৈশাখীসহ বর্ষণ শুরু হওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায়না। গেল বছর বর্ষায় এ সড়কের করুণ অবস্থাটি বারবার মনে নাড়া দেয়। হাটু পরিমাণ ময়লাযুক্ত পাণির উপর দিয়ে ৮নং ওয়ার্ড “বাঁশঘাট” সড়কের উপর দিয়ে স্থানীয়সহ ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন যাতায়াত করেছে। হয়তো আগামী বর্ষাতেও ওইসব এলাকার লোকজন যাতায়াত করবে, কারণ “উপায় নেই গোলাম হোসেন”। আগেকার লেখা খোলা চিঠিটি পড়ে মেয়র সাহেব নিজেই সড়ক পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্বচক্ষে সড়কের অবস্থা দেখেছেন। এলাকাবাসীকে আশ্বস্থও করেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কাজের কাজ হয়নি। কবে এসড়কের কাজ শুরু হবে এমন নিশ্চয়তাও পাওয়া যায়নি। তবে এ সড়কের কাজটি শুরু করতে গেলে স্থানীয় লোকজনকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক প্রশস্থ করণের সহায়তা করতে হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের একটি বদ অভ্যাস রয়েছে। পাবলিক চায় ভাল রাস্তা। তবে কেউ ভূমি ছাড়তে রাজি নয়। এভাবে হলে রাস্তার কাজ করা পৌরসভার পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাড়াবে। কিন্তু অন্যান্য ওয়ার্ডে বর্তমানে ড্রেনেজ ও রাস্তার কাজ চলছে। সেখানে যারা ভূমি ছাড়েনি তাদের ভূমি পূণঃ উদ্ধারে পৌরসভা বোল্ড ড্রোজার চালাতে কৃপনতা করেনি। এসড়কের ক্ষেত্রে অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে হবে। স্থানীয় লোকজন দাবী করেছেন, রাস্তার কাজ শুরু হলে তারা স্ব-প্রনোদিত হয়ে ভূমি ছাড়বে। ইতিমধ্যে চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে রাস্তা ও ড্রেনেজের কাজ চলছে। হয়তো আগামী বর্ষার আগে এসব কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে। শুধুমাত্র বাঁশঘাটা সড়কের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসী চরম ভাবে হতাশ, কারণ, তারা দূর্দশাগ্রস্থ। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী বাঁশঘাট রোড় এলাকার সমাজ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ‘মারজুক রাসেল হীরা’ দুঃখ করে বলতে শুনা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর। কিন্তু বাঁশঘাট সড়কের অবস্থা দেখলে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে মানুষের কাছে কি বার্তা যাবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা দরকার। তিনি আরো বলেন “জাইঙ্গা ছেড়া হলে সমস্যা হয়না, আর প্যান্ট তো ছেড়া পরিধান যায়না” এতে মর্যাদা নষ্ট হয়। আগামী বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। এক্ষেত্রে সরকার দৃশ্যমান উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বাঁশঘাটা সড়কের সমস্যাটা কি? এখানকার লোকজনকি হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকাতে উঠেনি, সেই জন্য ডুবে মরছে। যাক, মেয়র সাহেব এ সড়কটি সংস্কার করতে অর্থ সংকট হলে সড়কটি নিলাম দিয়ে যে অর্থ আয় করা হয় সেই অর্থ দিয়ে আগামী বর্ষার জন্য অন্তত কয়েকটি নৌকা চলাচলের মাধ্যমে জন দূর্গোভ লাগবের স্বার্থে দরপত্র আহŸান করে রাখলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা উপকৃত হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।